No item in cart.
তিনি বলেনঃ (একদিন) আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি বললেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম), লোকেরা ঘোড়ার মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করেছে, অস্ত্রসস্ত্র রেখে দিয়েছে এবং তারা বলছেঃ যুদ্ধ তার অস্রসস্ত্র রেখে দিয়েছে (এখন আর জিহাদ নেই, জিহাদ শেষ হয়ে গেছে)। এ কথা শুনে তিনি তার প্রতি লক্ষ্য করে বললেনঃ তারা মিথ্যা বলছে। এখনই জিহাদের আদেশ এসেছে। আর সর্বদা আমার উম্মতের একদল দ্বীনের জন্য যুদ্ধ করতে থাকবে। এখনই আল্লাহ্ তাদের জন্য লোকের অন্তর ঘুরিয়ে দেবেন। আর আল্লাহ্ তাদেরকে ওদের দ্বারা রিযিক দান করবেন কিয়ামত পর্যন্ত। আল্লাহ্ তা‘আলা কিয়ামত পর্যন্ত ঘোড়ার ললাটের সাথে কল্যাণ ও মঙ্গলকে সন্পৃক্ত করে রেখেছেন। আমাকে এ কথা ওহী দ্বারা জনানো হয়েছে যে, অচিরেই আমাকে তুলে নেয়া হবে (ইন্তিকাল হবে); (চিরদিন) আমাকে রাখা হবে না। আর তোমরা আমার পরে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়বে। তোমরা একে অন্যের সাথে মারামারি কাটাকাটি করবে, আর ঈমানদারদের নিরাপদ ঠিকানা হবে শামে (সিরিয়ায়)।
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَرْوَانُ وَهُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ صَالِحِ بْنِ صَبِيحٍ الْمُرِّيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي عَبْلَةَ، عَنْ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْجُرَشِيِّ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ نُفَيْلٍ الْكِنْدِيِّ، قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَذَالَ النَّاسُ الْخَيْلَ، وَوَضَعُوا السِّلَاحَ، وَقَالُوا: لَا جِهَادَ قَدْ وَضَعَتِ الْحَرْبُ أَوْزَارَهَا، فَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَجْهِهِ، وَقَالَ: «كَذَبُوا الْآنَ، الْآنَ جَاءَ الْقِتَالُ، وَلَا يَزَالُ مِنْ أُمَّتِي أُمَّةٌ يُقَاتِلُونَ عَلَى الْحَقِّ، وَيُزِيغُ اللَّهُ لَهُمْ قُلُوبَ أَقْوَامٍ، وَيَرْزُقُهُمْ مِنْهُمْ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ، وَحَتَّى يَأْتِيَ وَعْدُ اللَّهِ، وَالْخَيْلُ مَعْقُودٌ فِي نَوَاصِيهَا الْخَيْرُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، وَهُوَ يُوحَى إِلَيَّ أَنِّي مَقْبُوضٌ غَيْرَ مُلَبَّثٍ، وَأَنْتُمْ تَتَّبِعُونِي أَفْنَادًا، يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ، وَعُقْرُ دَارِ الْمُؤْمِنِينَ الشَّامُ»
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা‘আলা কিয়ামত পর্যন্ত ঘোড়ার ললাটে কল্যাণ বেঁধে রেখেছেন। ঘোড়া তিন প্রকার যা দ্বারা মানুষ সওয়াব লাভ করে। আর এক প্রকার ঘোড়া, যা (অসচ্ছলতার জন্য) আচ্ছাদন (ঢাল স্বরুপ) হয়ে থাকে এবং এক প্রকার ঘোড়া বোঝাস্বরুপ হয়ে থাকে। সওয়াবের ঘোড়া তো ঐ ঘোড়া, যাকে (মালিক) আটকে রাখে (লালন পালন করে) আল্লাহ্র পথে জিহাদের জন্য এবং প্রয়োজনমত তাকে জিহাদে ব্যবহার করা হয়। যা কিছু সে খায়, যা কিছু তার পেটের ভেতরে গায়েব করে, তা সবই তার জন্য সওয়াব লেখা হয়। যদিও নতুন চারণভূমিতে সে তার সামনে উদ্ভাসিত হয়। হাদিসের শেষ পর্যন্ত বর্নণা করেন।
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى بْنِ الْحَارِثِ، قَالَ: حَدَّثَنَا مَحْبُوبُ بْنُ مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ يَعْنِي الْفَزَارِيَّ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْخَيْلُ مَعْقُودٌ فِي نَوَاصِيهَا الْخَيْرُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ، الْخَيْلُ ثَلَاثَةٌ: فَهِيَ لِرَجُلٍ أَجْرٌ، وَهِيَ لِرَجُلٍ سَتْرٌ، وَهِيَ عَلَى رَجُلٍ وِزْرٌ، فَأَمَّا الَّذِي هِيَ لَهُ أَجْرٌ، فَالَّذِي يَحْتَبِسُهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيَتَّخِذُهَا لَهُ، وَلَا تُغَيِّبُ فِي بُطُونِهَا شَيْئًا، إِلَّا كُتِبَ لَهُ بِكُلِّ شَيْءٍ غَيَّبَتْ فِي بُطُونِهَا أَجْرٌ، وَلَوْ عَرَضَتْ لَهُ مَرْجٌ " وَسَاقَ الْحَدِيثَ
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ঘোড়া কোন লোকের জন্য সওয়াবের কারন হয়ে থাকে, আর কারো জন্য তা আচ্ছদন (ঢালস্বরুপ), আর কারো জন্য তা বোঝা (গুনাহের কারণ) হয়ে থাকে। ঘোড়া ঐ ব্যক্তির জন্য সওয়াবের কারন হয়ে থাকে, যে তাকে আল্লাহ্র রাস্তায় বাঁধে (প্রতিপালন করে)। আর সে তার রশি বাগান এবং চারণভূমিতে লম্বা করে দেয়, সেই ঘোড়া সে রশিতে যতদুর পর্যন্ত চরবে, তার জন্য নেকী লেখা হবে। যদি রশি ছিঁড়ে কোন উঁচু স্থানে (টিলায়) বা দুই উঁচু স্থানে চরে, তবে তার প্রত্যেকে পদক্ষেপে তার জন্য নেকী লেখা হবে এবং হারিসের হাদীসে আছে, তার গোবরেও নেকী লেখা হবে। যদি ওই ঘোড়া কোন নহরে গিয়ে পানি পান করে, অথচ মালিকের পানি পান করাবার ইচ্ছা না থাকে, তবুও তা মালিকের জন্য নেকী রুপে লেখা হবে। এইরুপ ঘোড়া সওয়াবের কারন হয়ে থাকে। আর, যে তা স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য বেঁধে রাখে, অথবা মানুষের কাছে চাওয়া থেকে বাঁচার জন্য এবং তাতে অর্থাৎ (ঘোড়ার) ঘাড়ে ও পিঠে পালনীয় মহান মহীয়ান আল্লাহ্র ‘হক’-এর কথা বিস্মৃত হয় না (এর যাকাত আদায় করে), তবে তা (ঘোড়া) তার জন্য আচ্ছাদন। আর ওই ব্যক্তির জন্য পাপ, যে ব্যক্তি তাকে গর্ব করা, লোক দেখানো এবং মুসলমানের সাথে শত্রুতার জন্য বাঁধে (পালন করে)। কোন ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে গাধার কথা জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বললেনঃ এ ব্যাপারে এখনও কিছু আমার উপর নাযিল হয়নি। তবে এই আয়াত যা সর্বব্যাপী মূলবিধি (রুপে স্বীকৃত, যাতে সামগ্রিক বিষয় শামিল রয়েছে)। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেনঃ কেউ অণু পরিমাণ নেককাজ করলে তা সে দেখতে পাবে, আর কেউ অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করলে তা-ও সে দেখতে পাবে।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ، قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ وَاللَّفْظُ لَهُ، عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " الْخَيْلُ لِرَجُلٍ أَجْرٌ، وَلِرَجُلٍ سَتْرٌ، وَعَلَى رَجُلٍ وِزْرٌ، فَأَمَّا الَّذِي هِيَ لَهُ أَجْرٌ: فَرَجُلٌ رَبَطَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ، فَأَطَالَ لَهَا فِي مَرْجٍ أَوْ رَوْضَةٍ، فَمَا أَصَابَتْ فِي طِيَلِهَا ذَلِكَ فِي الْمَرْجِ أَوِ الرَّوْضَةِ كَانَ لَهُ حَسَنَاتٌ، وَلَوْ أَنَّهَا قَطَعَتْ طِيَلَهَا ذَلِكَ، فَاسْتَنَّتْ شَرَفًا أَوْ شَرَفَيْنِ، كَانَتْ آثَارُهَا - وَفِي حَدِيثِ الْحَارِثِ - وَأَرْوَاثُهَا حَسَنَاتٍ لَهُ، وَلَوْ أَنَّهَا مَرَّتْ بِنَهَرٍ فَشَرِبَتْ مِنْهُ وَلَمْ يُرِدْ أَنْ تُسْقَى، كَانَ ذَلِكَ حَسَنَاتٍ فَهِيَ لَهُ أَجْرٌ، وَرَجُلٌ رَبَطَهَا تَغَنِّيًا وَتَعَفُّفًا وَلَمْ يَنْسَ حَقَّ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي رِقَابِهَا وَلَا ظُهُورِهَا، فَهِيَ لِذَلِكَ سَتْرٌ، وَرَجُلٌ رَبَطَهَا فَخْرًا وَرِيَاءً وَنِوَاءً لِأَهْلِ الْإِسْلَامِ، فَهِيَ عَلَى ذَلِكَ وِزْرٌ "
وَسُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْحَمِيرِ، فَقَالَ: " لَمْ يَنْزِلْ عَلَيَّ فِيهَا شَيْءٌ إِلَّا هَذِهِ الْآيَةُ الْجَامِعَةُ الْفَاذَّةُ: {فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ} [الزلزلة: 8] "
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট স্ত্রীজাতির পর ঘোড়া অপেক্ষা আর কোন বস্তু প্রিয় ছিল না।
أَخْبَرَنِي أَحْمَدُ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، قَالَ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: «لَمْ يَكُنْ شَيْءٌ أَحَبَّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ النِّسَاءِ مِنَ الْخَيْلِ»
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাহাবী ছিলেন, তাঁর থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা নবীগণের নামে নাম রাখবে। আর আল্লাহ্র নিকট সর্বাধিক পছন্দনীয় নাম হল আবদুল্লাহ এবং আবদূর রহমান। ঘোড়া বেঁধে রাখবে (লালন-পালন করবে) এবং এর মাথায় এবং পেছনে হাত বুলাবে, আর এর গলায় কালাদা পরাবে, তাকে(জাহিল) যুগের অনুকরণীয় ঘুনটীর কালাদা পরাবে না, লাল কাল মিশান (খয়রী) বর্ণের ঘোড়া পছন্দ করবে, যার ললাট এবং সামনের ও পেছনের পা সাদা হয় অথবা টকটকে লাল রঙ এর ঘোড়া, যার ললাট সাদা হয় এবং সামনের পা-ও সাদা।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الْبَزَّازُ هِشَامُ بْنُ سَعِيدٍ الطَّالَقَانِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُهَاجِرٍ الْأَنْصَارِيُّ، عَنْ عَقِيلِ بْنِ شَبِيبٍ، عَنْ أَبِي وَهْبٍ - وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَسَمَّوْا بِأَسْمَاءِ الْأَنْبِيَاءِ، وَأَحَبُّ الْأَسْمَاءِ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، عَبْدُ اللَّهِ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَارْتَبِطُوا الْخَيْلَ، وَامْسَحُوا بِنَوَاصِيهَا وَأَكْفَالِهَا وَقَلِّدُوهَا، وَلَا تُقَلِّدُوهَا الْأَوْتَارَ، وَعَلَيْكُمْ بِكُلِّ كُمَيْتٍ أَغَرَّ مُحَجَّلٍ، أَوْ أَشْقَرَ أَغَرَّ مُحَجَّلٍ، أَوْ أَدْهَمَ أَغَرَّ مُحَجَّلٍ»