No item in cart.
তাঁর পিতা সূত্রে তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন : (একদা) আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট ছিলাম, এমন সময় হাওয়াবিন গোত্রের এক প্রতিনিধি দল তাঁর নিকট এসে বললো : হে মুহাম্মদ! আমরা আরবের একটি গোত্র। আমাদের উপর যে বিপদ আপতিত হয়েছে, তা আপনার নিকট গোপন নয়। অতএব আপনি আমাদের উপর অনুগ্রহ করুন। আল্লাহ আপনার উপর অনুগ্রহ করবেন। তিনি বললেন : তোমরা দুইটার যে কোন একটা গ্রহণ কর। হয়তো তোমাদের মা-দৌলত নিয়ে যাও, অথবা তোমাদের নারী ও সন্তানদের নিয়ে যেতে পার। তারা বললো : আপনি আমাদেরকে নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী যে কোন একটা গ্রহণ করতে বলেছেন। অতএব আমরা আমাদের নারী ও সন্তানদের নিতে চাই। রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লম) বললেন : (গণীমতের মালে) আমার এবং আবদুল মুত্তালিবের সন্তানদের যে অংশ রয়েছে, আমি তা তোমাদেরকে দিয়ে দিলাম। কিন্তু আমি যুহরের সালাত আদায় করলে তোমরা দাঁড়িয়ে বলবে যে, আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উসিলায় মু‘মিনদের (অথবা মুসলমানদের) নিকট আমাদের নারী এবং সম্পদের ব্যাপারে সাহায্য প্রার্থনা করছি। বর্ণনাকারী বলেন : লোকেরা যুহরের সালাত আদায় করলে তারা ঐরূপই বললো। তখন রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন : যা আমার এবং আবদুল মুত্তালিবের সন্তানদের অংশ রয়েছে, তা তোমাদের। এ কথা শুনে মুহাজিরগণ বললেন : আমাদের অংশ রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য। আনসারগণও বললেন : আমাদের অংশও রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য। আকরা‘ ইব্ন হাবিস (রাঃ) বললেন : আমি এবং বনূ তামীম এতে রাযী নই। উয়ায়না ইব্ন হিসন (রাঃ) বললেনঃ আমি এবং বনু ফাযারাও এতে সম্মত নই। আব্বাস ইব্ন মিরদাস (রাঃ) বললেন : আমি এবং বনূ সুলায়ম এতে নেই। তখন বনূ সুলায়ম-এর লোক দাঁড়িয়ে বলল, তুমি মিথ্যা বলছ, আমাদের যা কিছু রয়েছে তা রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জন্য। তখন রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন : হে লোক সকল! তাদের নারীদের এবং সন্তানদের ফেরত দিয়ে দাও। আর যে ব্যক্তি বিনিময় ব্যতীত দিতে না চায়, মহান মহীয়ান আল্লাহ্ আমাদের সর্বপ্রথম যে গনীমত দিবেন তা থেকে তাকে ছয়টি উট দেয়া হবে। এই বলে তিনি তাঁর বাহনে আরোহণ করলেন। কিন্তু লোকেরা তাঁর পিছু নিল (এবং ঘেরাও করে রাখল) এবং তারা বলতে লাগলো : আমাদের গণীমতের মাল বন্টন করে দিন। লোকেরা তাঁকে একটি গাছের নিকট নিয়ে গেল এবং গাছে তাঁর চাদর আটকে দিল। তিনি বললেন : হে লোকসকল! আমার চাদর আমাকে ফিরিয়ে দাও। আল্লাহ্র শপথ! যদি তিহামার (মরু আরবের) গাছের সমসংখ্যক জন্তু আমার নিকট থাকে, তবে তা আমি তোমাদের মাঝে বন্টন করে দেব। তোমরা আমাকে কৃপণ, ভীরু ও মিথ্যাবাদী পাবে না। পরে তিনি একটি উটের নিকট এসে তার কুঁজের পশম তুলে নিয়ে বললেন : শোন, আমি তোমাদের এই গণীমতের মারের কিছুই নেব না, এমনকি পশমও নেব না; শুধু খুমুসই (পঞ্চমাংশ) নিতে চাই আর এই খুমুস বা পঞ্চমাংশও তোমাদের জন্যই ব্যয় হবে। একথা শুনে এক ব্যক্তি কিছু চুলের গুচ্ছ নিয়ে তাঁর নিকট এসে বললো : ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমি এটা এইজন্য নিয়েছি, যেন এর দ্বারা আমি আমার উটের চাদর ঠিক করতে পারি। তিনি বললেন : যা আমার এবং আবদুল মুত্তালিবের সন্তানদের, তা তোমার। সে ব্যক্তি বললো : যখন ব্যাপারটি এই পর্যন্ত পৌঁছেছে, তখন আমার এর প্রয়োজন নেই। সে চুলের গুচ্ছ ফেলে দিল। এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন : হে লোক সকল! তোমাদের যার কাছে যা আছে, এমন কি সুঁই-সুতা পর্যন্ত ফেরত দাও। কেননা গণীমতের মাল চুরি করা লজ্জার ব্যাপার; আর কিয়ামতের দিন তা তার (চোরের) জন্য লজ্জা ও অপমানের কারণ হবে।
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ يَزِيدَ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ أَتَتْهُ وَفْدُ هَوَازِنَ، فَقَالُوا: يَا مُحَمَّدُ، إِنَّا أَصْلٌ وَعَشِيرَةٌ، وَقَدْ نَزَلَ بِنَا مِنَ الْبَلَاءِ مَا لَا يَخْفَى عَلَيْكَ، فَامْنُنْ عَلَيْنَا مَنَّ اللَّهُ عَلَيْكَ، فَقَالَ: «اخْتَارُوا مِنْ أَمْوَالِكُمْ أَوْ مِنْ نِسَائِكُمْ وَأَبْنَائِكُمْ»، فَقَالُوا: قَدْ خَيَّرْتَنَا بَيْنَ أَحْسَابِنَا وَأَمْوَالِنَا بَلْ نَخْتَارُ نِسَاءَنَا وَأَبْنَاءَنَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَمَّا مَا كَانَ لِي وَلِبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَهُوَ لَكُمْ، فَإِذَا صَلَّيْتُ الظُّهْرَ فَقُومُوا، فَقُولُوا: إِنَّا نَسْتَعِينُ بِرَسُولِ اللَّهِ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ أَوِ الْمُسْلِمِينَ فِي نِسَائِنَا وَأَبْنَائِنَا " فَلَمَّا صَلَّوْا الظُّهْرَ قَامُوا فَقَالُوا ذَلِكَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَمَا كَانَ لِي وَلِبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَهُوَ لَكُمْ»، فَقَالَ الْمُهَاجِرُونَ: وَمَا كَانَ لَنَا فَهُوَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَالَتِ الْأَنْصَارُ: مَا كَانَ لَنَا فَهُوَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ الْأَقْرَعُ بْنُ حَابِسٍ: أَمَّا أَنَا وَبَنُو تَمِيمٍ فَلَا، وَقَالَ عُيَيْنَةُ بْنُ حِصْنٍ: أَمَّا أَنَا وَبَنُو فَزَارَةَ فَلَا، وَقَالَ الْعَبَّاسُ بْنُ مِرْدَاسٍ: أَمَّا أَنَا وَبَنُو سُلَيْمٍ فَلَا، فَقَامَتْ بَنُو سُلَيْمٍ فَقَالُوا: كَذَبْتَ، مَا كَانَ لَنَا فَهُوَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ، رُدُّوا عَلَيْهِمْ نِسَاءَهُمْ وَأَبْنَاءَهُمْ، فَمَنْ تَمَسَّكَ مِنْ هَذَا الْفَيْءِ بِشَيْءٍ فَلَهُ سِتُّ فَرَائِضَ مِنْ أَوَّلِ شَيْءٍ يُفِيئُهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَلَيْنَا»، وَرَكِبَ رَاحِلَتَهُ وَرَكِبَ النَّاسُ اقْسِمْ عَلَيْنَا فَيْئَنَا، فَأَلْجَئُوهُ إِلَى شَجَرَةٍ فَخَطِفَتْ رِدَاءَهُ، فَقَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ، رُدُّوا عَلَيَّ رِدَائِي، فَوَاللَّهِ لَوْ أَنَّ لَكُمْ شَجَرَ تِهَامَةَ نَعَمًا قَسَمْتُهُ عَلَيْكُمْ ثُمَّ لَمْ تَلْقَوْنِي بَخِيلًا وَلَا جَبَانًا وَلَا كَذُوبًا»، ثُمَّ أَتَى بَعِيرًا فَأَخَذَ مِنْ سَنَامِهِ وَبَرَةً بَيْنَ أُصْبُعَيْهِ ثُمَّ يَقُولُ: «هَا إِنَّهُ لَيْسَ لِي مِنَ الْفَيْءِ شَيْءٌ وَلَا هَذِهِ إِلَّا خُمُسٌ، وَالْخُمُسُ مَرْدُودٌ فِيكُمْ» فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ بِكُبَّةٍ مِنْ شَعْرٍ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَخَذْتُ هَذِهِ لِأُصْلِحَ بِهَا بَرْدَعَةَ بَعِيرٍ لِي فَقَالَ: أَمَّا مَا كَانَ لِي وَلِبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَهُوَ لَكَ، فَقَالَ: «أَوَبَلَغَتْ هَذِهِ؟ فَلَا أَرَبَ لِي فِيهَا»، فَنَبَذَهَا وَقَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ، أَدُّوا الْخِيَاطَ وَالْمَخِيطَ، فَإِنَّ الْغُلُولَ يَكُونُ عَلَى أَهْلِهِ عَارًا وَشَنَارًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ»
তাঁর পিতার সূত্রে তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : কেউ যেন কাউকে কিছু দান করে তা ফেরত না নেয়, কিন্তু পিতা তার সন্তানকে (দান করে তা ফেরত নিতে পারবে)। কেননা, যে ব্যক্তি দান করে তা ফেরত নেয়, সে ঐ ব্যক্তির মত, যে বমি করে তা পুনরায় ভক্ষণ করে।
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، قَالَ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ عَامِرٍ الْأَحْوَلِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَرْجِعُ أَحَدٌ فِي هِبَتِهِ إِلَّا وَالِدٌ مِنْ وَلَدِهِ، وَالْعَائِدُ فِي هِبَتِهِ كَالْعَائِدِ فِي قَيْئِهِ»
তাঁরা হাদীসটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত উন্নীত (মারফু‘) করেছেন, তিনি [রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)] বলেছেন : কারো জন্য এটা বৈধ নয় যে, সে কাউকে দান করে তা ফেরত নেবে। কিন্তু পিতা যা সে তার সন্তানকে দান করে (তা নিতে পারে)। কাউকে কিছু দান করে তা ফেরত নেয়া ঐ কুকুরের মত যে, অত্যাধিক খাওয়ার পর বমি করে, সে বমি আবার খায়।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ حُسَيْنٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي طَاوُسٌ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، وَابْنِ عَبَّاسٍ، يَرْفَعَانِ الْحَدِيثَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لَا يَحِلُّ لِرَجُلٍ يُعْطِي عَطِيَّةً ثُمَّ يَرْجِعُ فِيهَا إِلَّا الْوَالِدَ فِيمَا يُعْطِي وَلَدَهُ، وَمَثَلُ الَّذِي يُعْطِي عَطِيَّةً ثُمَّ يَرْجِعُ فِيهَاكَمَثَلِ الْكَلْبِ أَكَلَ حَتَّى إِذَا شَبِعَ قَاءَ ثُمَّ عَادَ فِي قَيْئِهِ»
রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : যে ব্যক্তি দান করে তা ফেরৎ নেয়, সে ঐ কুকুরের মত, যে বমি করে সে বমি আবার খায়।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْخَلَنْجِيُّ الْمَقْدِسِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ، وَهُوَ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ، عَنْ وُهَيْبٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْعَائِدُ فِي هِبَتِهِ كَالْكَلْبِ يَقِيءُ ثُمَّ يَعُودُ فِي قَيْئِهِ»
তিনি বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন : কাউকে কিছু দান করে তা ফেরত নেয়া কারো জন্য বৈধ নয়। কিন্তু (পিতা) পুত্র হতে (ফেরত নিতে পারে)। তাউস (রাঃ) বলেন : আমি ছোটবেলায় ‘নিজের বমি লেহনকারী’ কথাটি শুনতাম, কিন্তু বুঝতে পারিনি যে, [রাসুলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এটা দান ফেরত গ্রহণকারীর] উপমা স্বরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি বললেন : যে এরূপ করে, তার উদাহরণ ঐ কুকুরের ন্যায় যে খেয়ে বমি করে, এরপর সে তা আবার খায়।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا حِبَّانُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ الْحَسَنِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَاوُسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَحِلُّ لِأَحَدٍ أَنْ يَهَبَ هِبَةً ثُمَّ يَرْجِعَ فِيهَا، إِلَّا مِنْ وَلَدِهِ» - قَالَ طَاوُسٌ: كُنْتُ أَسْمَعُ وَأَنَا صَغِيرٌ، عَائِدٌ فِي قَيْئِهِ فَلَمْ نَدْرِ أَنَّهُ ضَرَبَ لَهُ مَثَلًا - قَالَ: «فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَمَثَلُهُ كَمَثَلِ الْكَلْبِ يَأْكُلُ ثُمَّ يَقِيءُ ثُمَّ يَعُودُ فِي قَيْئِهِ»