No item in cart.
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ এখন ফারা‘১ এবং ‘আতীরা নেই।
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا فَرَعَ وَلَا عَتِيرَةَ»
উষ্ট্রী প্রথমবার যেই বাচ্চা প্রসব করে তা মূর্তির নামে যবেহ করা হতো, একে ফারা‘ বলা হয়।
তাদের একজন বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফারা‘ এবং ‘আতীরা করতে নিষেধ করেছেন। অন্যজন বললেনঃ এখন আর ফারা’ ও ‘আতীরা [২] নেই।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ: حَدَّثْتُ أَبَا إِسْحَاقَ، عَنْ مَعْمَرٍ، وَسُفْيَانَ، عَنْ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أَحَدُهُمَا: «نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْفَرَعِ، وَالْعَتِيرَةِ» وَقَالَ الْآخَرُ: «لَا فَرَعَ، وَلَا عَتِيرَةَ»
[২] রজব মাসে যে বকরী যবেহ করা হয়। তাকে ‘আতীরা বলা হতো।
তিনি বলেনঃ আমরা আরাফায় রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাথে অবস্থানরত ছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ হে লোক সকল! প্রতি বছর প্রত্যেক পরিবারে একটি কুরবানী করা ওয়াজিব এবং একটি ‘আতীরা।৩ মু’আয (রাঃ) বলেনঃ ইবন আউন রজবে ‘আতীরা করতেন, আমি স্বচক্ষে তা দেখেছি।
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاذٌ وَهُوَ ابْنُ مُعَاذٍ قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو رَمْلَةَ قَالَ: أَنْبَأَنَا مِخْنَفُ بْنُ سُلَيْمٍ قَالَ: بَيْنَا نَحْنُ وُقُوفٌ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرَفَةَ فَقَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ عَلَى أَهْلِ بَيْتٍ فِي كُلِّ عَامٍ أَضْحَاةً، وَعَتِيرَةً» قَالَ مُعَاذٌ: «كَانَ ابْنُ عَوْنٍ يَعْتِرُ أَبْصَرَتْهُ عَيْنِي فِي رَجَبٍ»
প্রথমদিকে ‘আতীরা ওয়াজিব ছিল। পরে তা রহিত হয়ে গেছে। এখন চাইলে কেউ আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে এরূপ যবেহ করতে পারে কিন্তু করা অপরিহার্য নয়।
লোকেরা জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্! ফারা‘ কী? তিনি বললেনঃ তা যথার্থ। যদি তোমরা ফারা‘র জন্তু যবেহ না করে জওয়ান হওয়া পর্যন্ত রেখে দাও, তারপর তাকে আল্লাহ্র রাস্তায় দিয়ে দাও অথবা মিসকীন, বিধবাকে দান কর, তবে সেটাই উত্তম তাকে যবেহ করার চাইতে, যদ্দরুন তার মা এমন কৃশকায় হয়ে পড়বে যে, তার গোশত পশমের সাথে লেগে যাবে আর সেক্ষেত্রে যেন তুমি তার সবটা দুধ তোমার পাত্রে ঢেলে নিলে (অর্থাৎ তার দুধ শুকিয়ে যাবে) এবং তাকে শোকাহত করলে। লোকেরা জিজ্ঞাসা করলোঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্! ‘আতীরার কি হুকুম? তিনি বললেনঃ ‘আতীরাও যথার্থ।
أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ قَالَ: حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ أَبُو عَلِيٍّ الْحَنَفِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ قَيْسٍ قَالَ: سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ شُعَيْبِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِيهِ، وَزَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، الْفَرَعَ، قَالَ: «حَقٌّ، فَإِنْ تَرَكْتَهُ حَتَّى يَكُونَ بَكْرًا، فَتَحْمِلَ عَلَيْهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، أَوْ تُعْطِيَهُ أَرْمَلَةً، خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَذْبَحَهُ، فَيَلْصَقَ لَحْمُهُ بِوَبَرِهِ، فَتُكْفِئَ إِنَاءَكَ، وَتُولِهُ نَاقَتَكَ» قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَالْعَتِيرَةُ قَالَ: «الْعَتِيرَةُ حَقٌّ» قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ: أَبُو عَلِيٍّ الْحَنَفِيُّ هُمْ أَرْبَعَةُ إِخْوَةٍ، أَحَدُهُمْ أَبُو بَكْرٍ، وَبِشْرٌ، وَشَرِيكٌ وَآخَرُ "
তিনি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে বিদায় হজ্জের সময় সাক্ষাত করেন, তখন তিনি তাঁর আযবা নামক উটনীর উপর সওয়ার ছিলেন। আমি তাঁর এক দিকে এসে বললাম : ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমার মাতাপিতা আপনার উপর কুরবান হোক। আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ তোমাদেরকে ক্ষমা করুন। এরপর আমি বিশেষভাবে আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার উদ্দেশ্যে অন্য দিক দিয়ে তাঁর কাছে এসে বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তখন তিনি তাঁর হাত দ্বারা ইশারা করে বলেছেনঃ আল্লাহ্ তোমাদের সকলকে ক্ষমা করুন। তখন উপস্থিত লোকদের এক ব্যাক্তি বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ্! ‘আতীরা এবং ফারা‘র ব্যাপারে আপনি কি বলেন? তিনি বললেনঃ যার ইচ্ছা ‘আতীরা কর, আর যার ইচ্ছা করবে না। আর যার ইচ্ছা ফারা‘ করবে, যার ইচ্ছা করবে না, কিন্তু বকরীর কুরবানী ওয়াজিব। তখন তিনি তাঁর একটি আঙ্গুল ব্যতিত সবগুলো আঙ্গুল গুটিয়ে নেন।
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ قَالَ: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ يَعْنِي ابْنَ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى وَهُوَ ابْنُ زُرَارَةَ بْنِ كُرَيْمِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَمْرٍو الْبَاهِلِيُّ قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي يَذْكُرُ، أَنَّهُ سَمِعَ جَدَّهُ الْحَارِثَ بْنَ عَمْرٍو يُحَدِّثُ، أَنَّهُ لَقِيَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ، وَهُوَ عَلَى نَاقَتِهِ الْعَضْبَاءِ، فَأَتَيْتُهُ مِنْ أَحَدِ شِقَّيْهِ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي اسْتَغْفِرْ لِي، فَقَالَ: «غَفَرَ اللَّهُ لَكُمْ» ثُمَّ أَتَيْتُهُ مِنَ الشِّقِّ لْآخَرِ، أَرْجُو أَنْ يَخُصَّنِي دُونَهُمْ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، اسْتَغْفِرْ لِي، فَقَالَ بِيَدِهِ: «غَفَرَ اللَّهُ لَكُمْ». فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ النَّاسِ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، الْعَتَائِرُ، وَالْفَرَائِعُ، قَالَ: «مَنْ شَاءَ عَتَرَ، وَمَنْ شَاءَ لَمْ يَعْتِرْ، وَمَنْ شَاءَ فَرَّعَ، وَمَنْ شَاءَ لَمْ يُفَرِّعْ فِي الْغَنَمِ أُضْحِيَّتُهَا»، وَقَبَضَ أَصَابِعَهُ إِلَّا وَاحِدَةً