No item in cart.
তিনি বলেন, আমি কখনো রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর লজ্জাস্থানের দিকে তাকাইনি বা দেখিনি। [৬৬০]
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ مَوْلًى، لِعَائِشَةَ عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا نَظَرْتُ - أَوْ مَا رَأَيْتُ - فَرْجَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَطُّ . قَالَ أَبُو بَكْرٍ كَانَ أَبُو نُعَيْمٍ يَقُولُ عَنْ مَوْلاَةٍ لِعَائِشَةَ .
[৬৬০] আহমাদ ২৩৮২৩, ইবনু মাজাহ ১৯২২। তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ।
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাপাকির গোসল করলেন, তারপর দেখতে পেলেন যে, তাঁর শরীরের সামান্য অংশে পানি পৌঁছায়নি। তিনি এক আঁজলা পানি আনিয়ে তা সেই স্থানে প্রবাহিত করলেন। ইসহাক (রহঃ)-এর বর্ণনায় আছে : তিনি তাঁর পশম ভিজালেন। [৬৬১]
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَنْبَأَنَا مُسْتَلِمُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي عَلِيٍّ الرَّحَبِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ اغْتَسَلَ مِنْ جَنَابَةٍ فَرَأَى لُمْعَةً لَمْ يُصِبْهَا الْمَاءُ فَقَالَ بِجُمَّتِهِ فَبَلَّهَا عَلَيْهَا . قَالَ إِسْحَاقُ فِي حَدِيثِهِ فَعَصَرَ شَعْرَهُ عَلَيْهَا .
[৬৬১] আহমাদ ২১৮১ তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু আলী আর রাহাবী সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য। ইমাম বুখারী বলেন, তিনি অধিক মুনকার হাদিস বর্ণনা করেন। তার থেকে হাদিস বর্ণনা করা যাবে না। আবু যুরআহ আর-রাযী ও আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল।
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বললো, আমি নাপাকির গোসল করে ফজরের সলাত পড়লাম। তারপর সকাল হলে আমি দেখতে পেলাম যে, নখ পরিমাণ স্থানে পানি পৌঁছায়নি, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তুমি স্থানটুকু তোমার হাত দিয়ে মাসহ্ করলেই তোমার জন্য তা যথেষ্ট হতো। [৬৬২]
তাহকীক আলবানী : দঈফ জিদ্দান।
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ إِنِّي اغْتَسَلْتُ مِنَ الْجَنَابَةِ وَصَلَّيْتُ الْفَجْرَ ثُمَّ أَصْبَحْتُ فَرَأَيْتُ قَدْرَ مَوْضِعِ الظُّفْرِ لَمْ يُصِبْهُ الْمَاءُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لَوْ كُنْتَ مَسَحْتَ عَلَيْهِ بِيَدِكَ أَجْزَأَكَ " .
[৬৬২] যঈফ জিদ্দান। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৪৪৯ যঈফ, আলমুখ তারাহ ৪৪৫। উক্ত হাদিসের রাবী সুওয়ায়দ বিন সাঈদ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, আমি আশা করি তিনি সত্যবাদী। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক তাদলীস করেন। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি ইদতিরাব করে হাদিস বর্ণনা করেন।
এক ব্যক্তি উযু করে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলো, সে নখ পরিমাণ স্থান ছেড়ে দিয়েছিল, যেখানে পানি পৌঁছেনি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বলেন, তুমি ফিরে গিয়ে উত্তমরূপে উযু করো।[৬৬৩]
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَقَدْ تَوَضَّأَ وَتَرَكَ مَوْضِعَ الظُّفْرِ لَمْ يُصِبْهُ الْمَاءُ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " ارْجِعْ فَأَحْسِنْ وُضُوءَكَ " .
[৬৬৩]আবূ দাঊদ ১৭৩, আহমাদ ১২০৭৮। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ৮৬, সহীহ আবূ দাউদ ১৬৭।
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে উযু করার সময় তার পায়ের নখ পরিমাণ স্থান অধৌত বা শুকনা ছেড়ে দিতে দেখলেন। তিনি তাকে পুনর্বার উযু করে সলাত পড়ার নির্দেশ দেন। রাবী বলেন, সে ফিরে গেল (এবং উযু করে সলাত পড়লো)। [৬৬৪]
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، قَالَ رَأَى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ رَجُلاً تَوَضَّأَ فَتَرَكَ مَوْضِعَ الظُّفْرِ عَلَى قَدَمِهِ فَأَمَرَهُ أَنْ يُعِيدَ الْوُضُوءَ وَالصَّلاَةَ . قَالَ فَرَجَعَ .
[৬৬৪] মুসলিম ২৪৩, আবূ দাঊদ ১৭৩, আহমাদ ১৩৫, ১৫৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: ইরওয়াহ ১২৭, সহীহ আবূ দাউদ ১৬৫। উক্ত হাদিসের রাবী ইবনু হুমায়দ সম্পর্কে ইয়াকুব বিব শায়বাহ বলেন, তিনি অধিক মুনকারভাবে হাদিস বর্ণনা করতেন। ইমাম বুখারি বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে মন্তব্য রায়েছে। আবু যুরআহ আর-রাযী ও ইবনু খিরাশ বলেন, তিনি মিথ্যা কথা বলতেন।