No item in cart.
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ যাকে জনগনের বিচারক নিযুক্ত করা হলো, তাঁকে বিনা ছুরিতে যবেহ করা হলো। [২৩০৮]
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " مَنْ جُعِلَ قَاضِيًا بَيْنَ النَّاسِ فَقَدْ ذُبِحَ بِغَيْرِ سِكِّينٍ " .
[২৩০৮] তিরমিযী ১৩২৫, আবূ দাউদ ৩৫৭১, ৩৫৭২, আহমাদ ৭১০৫, ৮৫৫৯, মিশকাত ৩৭৩৩, আত-তালীকুর রাগীব ৩/১৩১, রাওদুন নাদীর ১১৩৬। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী উসমান বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৮৫৯, ১৭/১৯৩ নং পৃষ্ঠা)
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কাযীর পদ প্রার্থনা করে নেয় তাঁর দায়দায়িত্ব তার উপরই চাপানো হয়। আর যাকে এই পদ গ্রহনে বাধ্য করা হয়, তাঁর নিকট একজন ফেরেশতা অবতীর্ণ হয়ে তাঁকে সঠিক পথে চালিত করেন। [২৩০৯]
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ بِلاَلِ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ سَأَلَ الْقَضَاءَ وُكِلَ إِلَى نَفْسِهِ وَمَنْ جُبِرَ عَلَيْهِ نَزَلَ إِلَيْهِ مَلَكٌ فَسَدَّدَهُ " .
[২৩০৯] তিরমিযী ১৩২৩, ১৩২৪, আবূ দাউদ ৩৫৭৮, আহমাদ ১১৭৭৪, ১২৮৮৯, যইফাহ ১১৫৪, যইফ আল-জামি' ৫৬১৪। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবুল আলা সম্পর্কে আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, যারা হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন তিনি তাদের একজন। আবু যুরআহ আর-রাযী ও আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৬৮৪, ১৬/৩৫২ নং পৃষ্ঠা)
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে ইয়ামানে পাঠান। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি আমাকে পাঠাচ্ছেন, অথচ আমি একজন যুবক মাত্র। আমি লোকদের মধ্যে মীমাংসা করবো, অথচ বিচার কি জিনিস তাই আমি জানি না। রাবী বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হাত দিয়ে আমার বুকে আঘাত করে বলেনঃ “ইয়া আল্লাহ! আপনি তাঁর অন্তরে হেদায়েত দান করুন এবং তাঁর জিহবাকে (বাকশক্তিকে) সুস্থির রাখুন”। আলী বলেন, এরপর পক্ষদ্বয়ের মধ্যে বিচার করতে আমি কখনো সন্দেহে পতিত হইনি। [২৩১০]
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَعْلَى، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْيَمَنِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ تَبْعَثُنِي وَأَنَا شَابٌّ أَقْضِي بَيْنَهُمْ وَلاَ أَدْرِي مَا الْقَضَاءُ قَالَ فَضَرَبَ فِي صَدْرِي بِيَدِهِ ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ اهْدِ قَلْبَهُ وَثَبِّتْ لِسَانَهُ " . قَالَ فَمَا شَكَكْتُ بَعْدُ فِي قَضَاءٍ بَيْنَ اثْنَيْنِ .
[২৩১০] তিরমিযী ১৩৩১, আবূ দাউদ ৩৫৮২, ইরওয়া ২৫০০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে বিচারকই মানুষের বিচার করে, সে কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় হাজির হবে যে, একজন ফেরেশতা তাঁর ঘাড় ধরে থাকবেন। অতঃপর সে আকাশের দিকে মাথা তুলবে। আল্লাহ যদি বলেন, তাঁকে নিক্ষেপ করো, তবে সেই ফেরেশতা তাঁকে একটি গর্তে নিক্ষেপ করবেন, যার মধ্যে সে চল্লিশ বছর ধরে গড়িয়ে পড়তে থাকবে। [২৩১১]
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا مُجَالِدٌ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ حَاكِمٍ يَحْكُمُ بَيْنَ النَّاسِ إِلاَّ جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَلَكٌ آخِذٌ بِقَفَاهُ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَإِنْ قَالَ أَلْقِهِ أَلْقَاهُ فِي مَهْوَاةٍ أَرْبَعِينَ خَرِيفًا " .
[২৩১১] আহমাদ ৪০৮৬, আত-তালীকুর রাগীব ৩/১৩৩, মিশকাত ৩৭৩৯, যইফ আল-জামি' ৫১৬৬। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুজালিদ বিন সাঈদ সম্পর্কে ইমাম বুখারী ও ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তিনি যইফ বা দুর্বল। ইবনু মাঈন বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহন করা যাবে না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৭৮০, ২৭/২১৯ নং পৃষ্ঠা)
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কাযী যতক্ষণ পর্যন্ত জুলুম না করে, আল্লাহ তাঁর সাথে থাকেন। যখন সে জুলুম করে, তখন তিনি তাকে তার নিজের উপর ছেড়ে দেন। [২৩১২]
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ عِمْرَانَ الْقَطَّانِ، عَنْ حُسَيْنٍ، - يَعْنِي ابْنَ عِمْرَانَ - عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ مَعَ الْقَاضِي مَا لَمْ يَجُرْ فَإِذَا جَارَ وَكَلَهُ إِلَى نَفْسِهِ " .
[২৩১২] তিরমিযী ১৩৩০, আত-তালীকুর রাগীব ৩/১৩৮, মিশকাত ৩৭৪১। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন বিলাল সম্পর্কে আবু জা'ফার আল উকায়লী বলেন, আমার দৃষ্টিতে তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, আমি তার ব্যাপারে ভালো ছাড়া খারাফ কিছু শুনিনি। ইমাম যাহাবী বলেন, মানুষ যেভাবে ভুল করে তিনিও সেরকম ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৯৯, ২৪/৫৪৫ নং পৃষ্ঠা) ২. ইমরান আল-কাত্তান সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায়। আবু আবদুল্লাহ আল-হাকিম আন-নায়সাবুরী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৪৮৯, ২২/৩২৮ নং পৃষ্ঠা) ৩. হুসায়ন বিন ইমরান সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার সম্পর্কে সমালোচনা রয়েছে, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইমাম বুখারী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৩২৬, ৬/৪৫৭ নং পৃষ্ঠা)